নিউরো চিকিৎসায় সেবা ও মানবতার আলো ছড়াচ্ছেন মতলবের সহকারী অধ্যাপক ডা. বশীর আহম্মেদ খান
সম্রাট সিকদার :
চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ঘনিয়ার পাড়ের কৃতি সন্তান সহকারী অধ্যাপক (নিউরোসার্জারি) ও বিএনপিন্থি চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)-এর আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ডা. বশীর আহম্মেদ খান বর্তমানে মতলবের মানুষের কাছে এক ভরসার নাম হয়ে উঠেছেন।
বিশেষ করে নিউরো (স্ট্রোক) রোগীদের জন্য তিনি এখন যেন এক আশ্রয়স্থল। চিকিৎসা পেশায় দায়িত্ববোধ, মানবতা ও ত্যাগের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এই মেধাবী চিকিৎসক।
মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে মতলবের দুইজন গুরুতর স্ট্রোক আক্রান্ত রোগীকে তাঁর সরাসরি হস্তক্ষেপ ও সহযোগিতায় দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সময়মতো চিকিৎসা পাওয়ার কারণে দু’জন রোগীর জীবনই রক্ষা পেয়েছে যা মতলববাসীর হৃদয়ে গভীর কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধার জন্ম দিয়েছে।
নারায়ণ পুরের ও বাইশ কান্দির করিমন (৬২) ও শায়েলা (১৩) বলেন, “আমরা দুজন জটিল ব্রেইন ও স্পাইন সমস্যার রোগ নিয়ে নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলাম, কিন্তু সিট না পেয়ে ফিরে আসতে বাধ্য হই। পরে ডা. বশীর আহম্মেদ খান এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি আন্তরিকভাবে উদ্যোগ নেন এবং তার প্রচেষ্টায় আমরা ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাই। চিকিৎসা শেষে এখন আমরা দুজনই সম্পূর্ণ সুস্থ আছি। আমরা তার প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।”
এছাড়াও কিছুদিন আগে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক রুহুল আমিন স্ট্রোক করে পপুলার হাসপাতালে ভর্তি হন। খবর পেয়ে ডা. বশির আহমেদ তাকে দেখতে সেখানে ছুটে যান এবং চিকিৎসকদের কাছ থেকে সার্বক্ষণিক তার চিকিৎসার খোঁজখবর রাখেন। রুহুল আমিন ও তার পরিবার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “একজন চিকিৎসক হয়েও তিনি যে মানবিকতা দেখিয়েছেন, তা সত্যিই অনুকরণীয়।”
অন্যদিকে, মতলব উত্তর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুর ইসলাম জিতু এবং ঘনিয়ারপাড়ের শফিকুল ইসলাম অসুস্থ অবস্থায় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তাদেরও দেখতে সেখানে যান ডা. বশির আহমেদ খান এবং চিকিৎসার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন।
মানবসেবাকে জীবনের ব্রত হিসেবে গ্রহণ করা ডা. বশীর আহম্মেদ খান শুধু একজন চিকিৎসক নন তিনি হয়ে উঠেছেন অসহায় ও সংকটাপন্ন মানুষের জীবনের রক্ষাকবচ।
নিজের ব্যস্ত পেশাগত জীবনের মাঝেও তিনি নিয়মিত মতলবের অসুস্থ মানুষদের খোঁজখবর নেন, পরামর্শ দেন এবং প্রয়োজনে রাজধানীর উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করেন।
চিকিৎসা ক্ষেত্রে পেশাগত দক্ষতা, সততা ও মানবিকতার সমন্বয়ে ডা. বশীর আহম্মেদ খান আজ মতলববাসীর গর্ব।
এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডা. বশীর আহম্মেদের সাপ্তাহিক চেম্বারে (বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার)। মতলববাসীর জন্য রয়েছে বিশেষ ছাড়।
তাঁর মতো মানবিক ও নিষ্ঠাবান চিকিৎসকই সমাজে সত্যিকারের পরিবর্তনের আলো ছড়িয়ে দিতে পারেন এমনটাই বলছেন মতলবের সচেতন মহল।

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url