চাদপুরের মতলব উত্তরের নন্দলালপুরে নাছিরের দই, স্বাদের টানে প্রতিদিন ভিড় জমায় শত শত মানুষ।
চাদপুরের মতলব উত্তরের নন্দলালপুরে নাছিরের দই, স্বাদের টানে প্রতিদিন ভিড় জমায় শত শত মানুষ।
মেরাজ উদ্দিন শুভ :
চাঁদপুরের মতলব উত্তরের নন্দলালপুরে নাছিরের দই — স্বাদের টানে প্রতিদিন ভিড় জমায় শত শত মানুষ
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার নন্দলালপুর বাজারের এক প্রান্তে ছোট্ট একটি দইয়ের দোকান, এখন যেন হাজারো মানুষের প্রিয় ঠিকানা। দোকানের নাম নেই, নেই চমকপ্রদ সাজসজ্জা-তবু প্রতিদিন সেখানে ভিড় করেন শত শত মানুষ। কারণ একটাই: নাছিরের দই।
নাছির, পেশায় একজন সাধারণ দই ব্যবসায়ী, কিন্তু তার হাতে তৈরি দই অদ্ভুত এক জাদুতে ভরপুর। তার এই ঠান্ডা দই মুখে দিলেই যেন মিলিয়ে যায়, আর রেখে যায় মিষ্টি, মনভোলানো এক স্বাদ।
প্রতিদিন সকাল থেকেই শুরু হয় তার দই তৈরির কাজ। দেশি গরুর দুধ, পরিশ্রম আর নিষ্ঠার মিশেলে তৈরি এই দই কোনোরকম কৃত্রিম উপাদান ছাড়াই তৈরি হয়। দুপুর না পেরোতেই দোকানের সামনে শুরু হয় ভিড়—দই নিতে মানুষ দাঁড়িয়ে থাকেন লাইন ধরে। কেউ পরিবার নিয়ে আসছেন, কেউবা দূরদূরান্ত থেকে শুধু এই দইয়ের স্বাদ নিতে ছুটে এসেছেন।
এক ক্রেতা বলছিলেন, “নাছির ভাইয়ের দই একবার খেলে ভুলে যাওয়া যায় না। আমি ঢাকা থেকে মাসে অন্তত একবার আসি শুধুমাত্র এই দইয়ের জন্য।”
নাছির বলেন, “দই বানানো আমার পেশা নয়, এটা আমার ভালোবাসা। মানুষ খেয়ে খুশি হলে আমার মনে হয় আমি কিছু একটা করতে পেরেছি।”
তার এই অনন্য স্বাদের দই ইতিমধ্যে মতলবের গণ্ডি পেরিয়ে আশপাশের জেলা-উপজেলায়ও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অনেকেই অনলাইনে অর্ডার করে নিচ্ছেন এই সুস্বাদু দই, আবার কেউ কেউ দূর থেকে গাড়ি নিয়ে এসে কিনে নিচ্ছেন একাধিক দইয়ের বাটি।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলেছেন, নাছিরের দইয়ের এই খ্যাতি ধরে রাখতে এবং বড় পরিসরে ছড়িয়ে দিতে তারা প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
নাছিরের এই নিরলস প্রচেষ্টা শুধু তার জন্য নয়, পুরো নন্দলালপুর গ্রামের জন্যই গর্বের বিষয় হয়ে উঠেছে। চাঁদপুরে গেলে এখন অনেকেরই 'নাছিরের দই' খাওয়া যেন বাধ্যতামূলক একটি অভিজ্ঞতা।