সুমন আহমেদ :
চাঁদপুরের মতলব উত্তরে ছেংগারচর পৌর এলাকায় ও বিভিন্ন ইউনিয়নে দিন দিন মাদক ব্যবসায়ীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর অভিযোগ থানায় বহুবার অভিযোগ করার পরেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় বেপরোয়া হয়ে গেছে মাদক ব্যবসায়ীরা।সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, পৌরসভার জোড়খালী এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী মৃত্যু শামসুদ্দিনের ছেলে ইয়াবা কাজল ও তার সহযোগী মৃত্যু মোহাম্মদ আলীর ছেলে ইয়াবা মেহেদীর নেতৃত্বে একটি চক্র এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে।
বর্তমানে মোহনপুর ইউনিয়নের ২০মামলার আসামি মাদক সম্রাট মো. জনি পলাতক থাকায়
ইয়াবা কাজল ও ইয়াবা মেহেদীর নেতৃত্বে একটি চক্র প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
মাদক ব্যবসার পাশাপাশি তারা প্রতিনিয়ত ছিনতাই, চুরি ও অসামাজিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
বালুরচর গ্রামের নুর হোসেন ও জামাল জানান,
শামসুদ্দিনের ছেলে কাজল এলাকায় ইয়াবা কাজল
নামে এলাকায় পরিচিত তার বিরুদ্ধে মতলব উত্তর থানায় বেশ কয়েকটা মাদক মামলাসহ বিভিন্ন মামলা চলমান, তার সহযোগী ইয়াবা মেহেদীর বিরুদ্ধেও বেশ কয়েকটা মাদক মামলা আছে কিছুদিন আগে বিদেশি মদ, ইয়াবা ও গাঁজাসহ আটক হয়েছিলো।
কেশাইরকান্দী গ্রামের সুরুজ আলী বেপারীর ছেলে মো. আমান উল্লাহ জানান, এদের অত্যাচারে আমরা আমাদের জমির সাইনবোর্ড পর্যন্ত রাখতে পারি না। আমাদের নিকট চাঁদা দাবি করে চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে সাইনবোর্ড পর্যন্ত খুলে নিয়ে যায়। হানিরপাড় এলাকার বাসিন্দা দ্বীন ইসলাম বলেন, এই কাজল ও মেহেদী গ্রুপের কারণে আমরা বাড়ি করতে পারি না, বাড়ি নির্মাণ করতে গেলে এরা বড় অংকের চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয় এবং শ্রমিকদেরকে মারধর করে। এছাড়াও এখানে প্রকাশ্যে মাদক কিনতে আসা উশৃঙ্খল যুবকদের নানা রকম যন্ত্রণা সইতে হয় এলাকাবাসীকে।
এছাড়াও মাদকসেবীদের কারণে এলাকায় দিন দিন বেড়েই চলেছে ছিনতাই, চুরি ও অসামাজিক কর্মকান্ড।
এ ব্যাপারে মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রবিউল হকের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমরা মাদক ব্যবসার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করতে অভিযান চালিয়েছি। কোনোভাবেই মাদক ব্যবসায়ীদের ছাড় দেয়া হবে না।
ছেংগারচর পৌর এলাকার জোড়খালীসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নকে মাদকমুক্ত করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন