শুভ মহালয়া রবিবারে

তাপস চন্দ্র সরকার
কুমিল্লা প্রতিনিধি :
আসছে ২১ সেপ্টেম্বর রবিবার বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের পুণ্যলগ্ন শুভ মহালয়া। এদিন থেকেই শুরু হয় দেবীপক্ষের। শ্রী শ্রী চণ্ডী পাঠের মধ্যদিয়ে দেবী দুর্গার আবাহনই মহালয়া হিসেবে পরিচিত। এই চণ্ডীতেই আছে দেবী দুর্গার সৃষ্টির বর্ণনা। শারদীয় দুর্গাপূজার একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হলো মহালয়া।
পুরাণমতে, এদিন দেবী দুর্গার আবির্ভাব ঘটে। এদিন থেকেই দুর্গাপূজার দিন গণনা শুরু হয়। মহালয়া মানেই আর ছয় দিনের প্রতীক্ষা মায়ের পূজার। এই দিনেই দেবীর চক্ষুদান করা হয়।
২৮ সেপ্টেম্বর রবিবার থেকে ষষ্ঠীপূজার মাধ্যমে দুর্গাপূজা শুরু হলেও মূলত: মহালয়া থেকেই দুর্গাপূজার আনন্দধ্বনি শোনা যাবে। ১৩ অক্টোবর বিজয়া দশমীর পর প্রতিমা বিসর্জ্জনের মধ্যদিয়ে সমাপ্তি ঘটবে উৎসবের।
পূজার এই সূচনার দিনটি সারাদেশে আড়ম্বরের সঙ্গে উদ্‌যাপিত হবে। মহালয়া উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন মন্দিরে রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকেই শ্রীশ্রী চণ্ডীপাঠসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সকালবেলা শুরু হবে আনুষ্ঠানিকতার। বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে দেবী দুর্গা সব অশুভ শক্তি বিনাশের প্রতীক রূপে পূজিত। মহামায়া অসীম শক্তির উৎস। পুরাণে আছে, মহালয়ার দিনে দেবী দুর্গা মহিষাসুর বধের দায়িত্ব পান। শিবের বর অনুযায়ী কোনো মানুষ বা দেবতা কখনো মহিষাসুরকে হত্যা করতে পারবে না। অসীম ক্ষমতাশালী মহিষাসুর দেবতাদের স্বর্গ থেকে বিতাড়িত করেন এবং বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের অধীশ্বর হতে চান। ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিব সম্মিলিতভাবে ‘মহামায়া’ রূপে অমোঘ নারীশক্তি সৃষ্টি করলেন এবং দেবতাদের ১০টি অস্ত্রে সুসজ্জিত সিংহবাহিনী দেবী দুর্গা যুদ্ধে মহিষাসুরকে পরাজিত ও বধ করেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url